২০০০ সালের ডিসেম্বর এ প্রথম এ্যালবাম প্রকাশ থেকে ২০০২ সালের ডিসেম্বর, তিশমার “তারা” এ্যালবাম প্রকাশ আর তার মাত্র ২ মাস পরে ২০০৩ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী আমার জন্মদিনে প্রকাশিত হয়েছিল আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ এ্যালবাম, “পাগলা হাওয়া”। জেমস্ ভাই এবং এদেশের একজন কিংবদন্তী শিল্পীকে নিয়ে একটি এ্যালবাম এর কাজ করছিলাম। কিংবদন্তী শিল্পীকে তার গানের ট্র্যাক পৌছে দিয়েছিলাম। কিংবদন্তী শিল্পীর গত ৩০ বছর কোন গান জনপ্রিয় হয় নাই। জেমস্ ভাইয়ের গান সব রেকর্ড শেষ করে ফেললাম এবং শেষ সময়ে কিংবদন্তী শিল্পী এ্যালবামে গান গাইবেন না বলে জানালেন। কিংবদন্তী এই এ্যালবাম থেকে চলে গেলেন, কিন্তু এই এ্যালবামটাই বাংলাদেশের সংগীতের ইতিহাসে কিংবদন্তী হয়ে গেল। পথিক এবং আরেকজন শিল্পীর জন্য কাজ করছিলাম। শেষ পর্যন্ত হঠাৎ করেই দুজনের গান এক সাথে করে ২০০৩ এর কোরবানী ঈদের ২ দিন আগে প্রকাশিত হল “পাগলা হাওয়া”। এদেশের গানের বাজার তখন খুব গরম, হিন্দী গানে। হিমেশ রেশমাইয়া এর “এক বার আজা আজা” নিয়ে তখন সবাই মাতোয়ারা। একদিনেই পরিস্থিতি বদলে গেল। সারা বাংলায় একসাথে, ঘরে, বাহিরে, চায়ের দোকানে, বাজারে সব জায়গায় – “পাগলা হাওয়ার তোড়ে. মাটির পিদিম নিভু নিভু করে” বেজে উঠলো। সেই যে পাগলা হাওয়ার দোল এদেশে লাগলো, তা আজো সারা বাংলা কাপিয়ে বেড়াচ্ছে । ধন্যবাদ জেমস্ ভাইকে। জেমস্ ভাই না চাইলে “পাগলা হাওয়া” হতো না।
এই এ্যালবামের “পাগলা হাওয়া” গানটি রাজিব আহমেদের লেখা। “প্রেম যমুনার কুলে” লিখেছিল মারজুক রাসেল। “নদী” গানটিও রাজিব আহমেদের লেখা। পথিক নবীর গানগুলো তার নিজের লেখা ও প্রচলিত ফোক গানের সমন্বিত ছিল।
আমি ছাড়াও কি বোর্ড বাজিয়েছিল, তমাল, টিংকু। পথিক নবীর কয়েকটি গানে গীটার বাজিয়েছিল সোহেল এবং বেইজ বাজিয়েছিল তানিম। রেকর্ডিং হয়েছে সাউন্ড গার্ডেনে। রেকর্ডিং করেছেন, সেই দুরের ভাই “দূরে” আর মিক্স করেছিলেন মবিন ভাই। “পাগলা হাওয়া“ গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মান করেছিলেন তাপস। এ্যালবামের ফটোগ্রাফি করেছিলেন তুহিন হোসেন।
সবশেষে, ক্যাসেট, সিডি, ভিসিডি, রিংটোন, ওয়েলকাম টিউন, আর বিদেশে রপ্তানী করে টাকা কামাই করে যাচ্ছেন আজো সংগীতার সেলিম খান। সেলিম ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই কারন, উনি আমাদের পৃষ্ঠপোষকতা না করলে “পাগলা হাওয়া”এর জন্মই হতো না। Mahfuz Anam James, Pathik Nabi, Salim Khan, Rajiv Ahmed, Iftikher Ifti, Isha Khan Duray,
— শওকাত ইসলাম